জুমাস ডেস্ক: বাংলাদেশের কয়কটি জেলায় রেকর্ড ভেঙে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে। ভারত থেকে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশের আট জেলা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে এসব জেলার মানুষ। পরিস্থিতি এমন যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ারও সুযোগ নেই। এসব জেলায় অন্তত সাড়ে ১৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী ও বিপদগ্রস্ত। সাধ্য অনুযায়ী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জানা যায়, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি গত তিন দশকের রেকর্ড ভেঙেছে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ভম্বুর বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়াসহ কয়েকটি উপজেলা পুরোটা পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর পানিতে নিমজ্জিত। পানি বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত।

অব্যাহত বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ক্রমেই ফুঁসে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। সকাল থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা।

টানা ভারী বৃষ্টি এবং মুহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছের ঘরে, মুরগি খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজির খেত। ঝড়ো বাতাসে ভেঙে গেছে গাছপালা। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকা।

অসহায় মানুষগুলো খড়কুটো ধরে নিজেকে এখন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারলেও, তাদের ঘরবাড়ি এবং গবাদিপশুগুলো প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।

ভারী বৃষ্টিতে আবারও ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাও।

এছাড়াও সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বন্যার পরিস্থিতির ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।



