সিলেটে বন্যার পরিস্থিতি অবনতির দিকে

সিলেটে বন্যার পরিস্থিতি অবনতির দিকে

জুমাস ডেস্ক: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

ভারত থেকে উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপরে, সিলেটের সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকার কারণে সীমান্তবতী গোয়াইনঘাট এবং কানাইঘাট উপজেলার কয়েকটি এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর পানি বাড়ার কারণে ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১৩টি উপজেলায় একলাখেরও বেশি মানুষ বন্যার পানিতে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৩০০ জনের মত।তবে এই সংখ্যা আজকে আরো বাড়তে পারে।

অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টা সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে বৃষ্টিপাত কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানান তিনি।সার্বিক বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, বন্যাসহ যেকোন দূর্যোগ পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনায় সিলেট জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত না হয়ে সকল প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার অনুরোধ করা হলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের পানি সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা দিয়ে নামছে।

এদিকে মৌলভীবাজারেও সকাল থেকে টানা বৃষ্টি পড়ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *