আমি বিজয়ের গান গাই
– রওশন হাসান
যা কিছু হারিয়েছি অভিসন্ধি, অপঘাতে
মহাসিন্ধুর কাছে গচ্ছিত রেখেছি, অরণ্যানী অরুণিমায় রেখেছি স্মরণীয় করে l
আকাশের আদিগন্ত নিলীমতায় নীল কষ্টগুলো
আজও উদীয়মান, ভাস্কর
স্বজনের হাহাকারে উত্তাল বহে জলবায়ু
আজও মেঘে মেঘে দেখি পরিবর্তন, আর্তনাদ শুনি মৌসুমে, মলয়ে
আজও মায়ের, বোনের কজ্জলে বহে যমুনার ঢেউ
নক্সীকাঁথার সহজিয়ায় বোনা কাঁথায়, সম্ভ্রমহানিতে
সুতোরা খেলে পৈশাচিকতার নৃত্য
বাংলার মানচিত্র করে গ্রাস, লালসার বহুরূপে
অপঘাতী কঙ্কর
মাটির শরীরে রক্তরেখায় কান পেতে শুনি, অনুতপ্ত বাতাসের গুন্জরিত আহাজারি
বিজিত পারাবতের শুভ্র দেহে আজও দেখি, অবরুদ্ধ
স্বাধীনতার ডানা-ভাঙা পালক l
পাখির চঞ্চুতে যদি শুনি জাগ্রত ভোরের
বহ্নিতে অবিনাশী ডাক
তবে কেন নয় আমার মুকুলিত মুক্তি
চেতনায় শিকল-ভাঙা গান?
পতাকার কাছে নত করি আমার অকৈতব অভিলাষ, অঙ্গীকারে, আমার অক্ষিপটে
দৃশ্যমান দৃঢ়তার আত্মপ্রতিফলন
মাটির মাতাল গন্ধে বেড়ে ওঠা মউল ফুলের
সুবাসসুধা করি পান
অন্তঃসলিলা নদীর অন্তরে শুনি সাম্যবাদীর কুহুতান
সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার নাগপাশের
ছিন্নপত্রে রাখি, মানবতার সম্মান
আমার নৈতিকতায় বিজয়ের রক্তলাল পত্ পত্ ওড়া উদিত সূর্য-পতাকায়, সমবেত স্বরে
এসো বিজয়ের গান গাই
এসো কবিতা নামাই
লাল-সবুজের বৃত্তে ও সবুজ বাংলায় আমার অহংকারে, আমার অধিকারে করি অনির্বান
আমার বিজিত কন্ঠ উচ্চশিরে অগ্নিভ
নক্ষত্র হয়ে জ্বলে
লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের মহিমার বজ্রধ্বনি
এসো করি প্রণয়ন অদ্বৈত জাগরণী কলরবে, আশু সম্ভাবনায়, সৌহার্দের
মহাকাব্য উপসংহার
সৃষ্টিসুখে রন্জিত করি মহানুভব সংবেদে,
বিজয়িনী অর্ঘ্য সম্ভার l