মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিএনপিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার প্রায় ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মূল বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৭টার সময় বলাকা ভবনের কাছ থেকে প্রভাতফেরির উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে এসেছি। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে থেকে আমরা সকাল ৮টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম এখান থেকে বারবার উচ্চারণ করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেদি ত্যাগ করেনি, অযথা সময় নষ্ট করেছে। এখানে যারা প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন এটা তাদের ব্যর্থতা। মহান ভাষা দিবসেও এখানে (শহীদ মিনারে) দলবাজির শিকার হয়েছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
এ সময় বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, হারুনুর রশীদ, তাবিথ আউয়াল, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সেলিম রেজা হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, আকরামুল হাসান, রফিক শিকদার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, এস এম জিলানী, হাসান জাফির তুহিন, হেলেন জেরিন খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবুল কালাম আজাদ, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক। সেই চেতনা ছিল দেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে, এ দেশের জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে নিজেদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে সেই দল জনগণের সেবা করবে। দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না, সামাজিক সাম্য থাকবে। কিন্তু যারা বর্তমানে সরকারে আছে তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে তারা এ দেশে সব দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানবাধিকার নাই। চলছে ক্ষমতাসীনদেরে লুটপাট, দুর্নীতি। আজকে বাংলাদেশে অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এ অবস্থার পরিত্রাণে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।