চিনি, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে অস্বস্তিতে সরকার। একশ্রেণির ব্যবসায়ী যৌক্তিক দামের চেয়ে বেশি দামে তেল ও চিনি বিক্রি করছেন বলে খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অভিযোগ তুলেছেন। আর পেঁয়াজের দাম এক মাসে বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। টিপু মুনশি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির হুমকি দেওয়ার পরও দাম কমছে না।
এমন বাস্তবতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বারস্থ হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। সয়াবিনে এতদিন বিভিন্ন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি থাকলেও ৩০ এপ্রিলের পর থেকে তা আর নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ এপ্রিল সয়াবিনে ভ্যাট–অব্যাহতি সুবিধা অন্তত ৩০ জুন পর্যন্ত রাখার অনুরোধ জানালেও এনবিআর তা আমলে নেয়নি। ফলে বাজারে সয়াবিন বেচাকেনা হচ্ছে এখন ১৯৫ থেকে ১৯৯ টাকা লিটার দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২ টাকা করে কম।
নতুন করে গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনিতে শুল্কছাড়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সীমিত পর্যায়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারকে চিঠি দিয়েছে ১৪ মে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চিঠিরই জবাব পায়নি।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট–অব্যাহতির সময় বাড়েনি। তারপরও আমরা চিনির শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছি। আর পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগের বিষয়েও অনুরোধ করেছি কৃষি মন্ত্রণালয়কে।’