আমেরিকান প্রবাসী সমাজ সেবক হাসান আলীর কলাম

আমি প্রথমে প্রবাসে জার্মানীতে ১৯৭৯-১৯৮২সাল পর্যন্ত ৩ বছর রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলাম ৷ পরে ১৯৮২ সালে আমেরিকায় চলে আসি, আমেরিকায়১৯৮২ থেকে ৪১ বছর ৷ আমেরিকায় ১৯৮৯ সাল থেকে আমেরিকার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রিকপার্টির সাথে জড়িত এবং আমার এলাকার নির্বাচিত মেম্বার ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, দুই বছর পর পর নির্বাচিত হও ৷ ১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের কনভেনশন কমিটির সদস্য ছিলাম ৷ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের শপথ অনুষ্ঠানে ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারীতে বাংলাদেশী আমেরিকান পেশাজীবী নেতাদের নিয়ে যোগদান করি ৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে আমাকে অনারারী কিচেন কেবিনেট মেম্বারের মর্যাদা দান করেন ৷ জাতিসংঘে এনজিও(NGO) প্রতিনিধি ছিলাম ১৯৯২-৯৬সালে ৷

আমেরিকায় বাংলাদেশী আমেরিকান ও মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছি সবার সন্মিলিত প্রচেষ্টায় ৷ যে অধিকারগুলি আদায় করেছি তাহা হল (১) নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৯২ সালের ২৫ শে সেপ্টম্বর মুসলমানদের জন্য দুই ঈদে ৬ দিন অলটারনেটিভ ফ্রি পার্কিং বিল(২)২০১৯ সালে ২১ আগষ্ট নিউইয়র্ক স্টেটে হিজাব বিল(৩) ২০১৫ সালে পাবলিক স্কুলে ঈদের ছুটি(৪)হসপিটালে হালাল ফুড(৫)বাংলা ভাষাকে নিউইয়র্ক সিটিতে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা(৬)নিউইয়র্ক স্টেটে ২০১২ সালে আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহকে বাঙালী সপ্তাহ (৭)২০১৫ সালে নিউইয়র্ক স্টেটে ২১শে ফ্রেব্রুয়াকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি (৮) ২০১২ সালে নিউইয়র্ক সিটির ইলেকশনে ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষায় প্রার্থীদের নাম লিখা থাকে(৯)নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে হালাল ফুড ২০২৩ সালে (১০)নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে রমজান মাসকে মুসলিম হেরিটেজ মাস হিসাবে রেজুলেশন পাশ হয় ২০২৩ সালে ১৬ মার্চ (১১) ১৯৯২ সালে হোয়াইট হাউসে মুসলিম প্রতিনিধি নিয়োগ দানের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশের প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় আমেরিকান মুসলিম লিডারদের সাথে আমি হাসান আলী যোগদান করি ৷

বর্তমানে রাশাদ হাসান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এম্বেসেডার এটলার্জ(মন্ত্রীর পদমর্যাদায়)(১২)প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশী আমেরিকান নুসরাত জাহান চৌধুরীকে ফেডারেল জাজ হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ায় সিনেট কনফার্ম করেছে (১৩) প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সময় থেকে হোয়াইট হাউসে ইফতার পার্টি,ঈদ পূর্ণমিলনী, ঈদের সময় আমেরিকান মুসলিম ও বিশ্ব মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাণী পাঠানো(১৪) প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় আমেরিকান আর্মিতে মুসলিম চ্যাপলিন(মুসলিম ইমাম) সহ আরও অনেক ৷

আগামীতে বাংলাদেশী আমেরিকান ও মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার আদায়ের পরিকল্পনা(১) আমেরিকার কংগ্রেসে মুসলিম আমেরিকান ককাস গঠন(২)হোয়াইট হাউসে মুসলিম এফেয়ার্স(২)আমেরিকান কংগ্রেসে ঈদের ছুটির বিল উতাথাপন(৩)আমেরিকান কংগ্রেসে রামজান মাসকে মুসলিম হেরিটেজ মাসের স্বীকৃতি আদায়ে বিল উত্থাপন(৪) বাংলাদেশে জন্য “ডিউটি ফ্রি বানিজ্য বিল” আমেরিকান কংগ্রেসে উত্থাপন করে পাশ করা(৫)আমেরিকান কংগ্রেসে ২১ ফ্রেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্বীকৃতি আদায়ে বিল উত্থাপন সহ আরও অনেক ৷

আমেরিকায় মুসলমানদের অধিকার আদায় ও বাংলাদেশী আমেরিকানদের অধিকার আদায়ে যারা কাজ করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই, তারা হলেন জনাব ডাঃ এমএম বিল্লাহ,জনাব অধ্যাপক ডঃ শওকত আলী, জনাব মূর্শেদ আলম,জনাব এটর্ণী মঈন চৌধুরী,জনাব এম এ কাইয়ুম,জবান মাফ মিসবাহ উদ্দিন, জনাবা মাজেদা উদ্দিন,, জনাব জয়নাল আবেদীন, জনাব বিশ্বজিত সাহা, জনাব গিয়াস আহমদ, জনাব মোহাম্মদ এন মজুমদার বিশিষ্ট আইনজীবী, জনাব আব্দুস শহিদ, জনাব মনজুর চৌবুরী,জনাব দেওয়ান আকমল চৌধুরী, সহ আরও অনেক ৷ আমার উদ্দেশ্য হল আমেরিকায় ৪১ বছরের অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে লিখে আমেরিকার বড় বড় শহরে, কানাডা, বৃটেন, ফ্রান্স,জার্মানী, ইতালী, স্পেন, অষ্ট্রোলিয়া ,জাপান সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশে মুসলমাদের অধিকার ও বাংলা ভাষায় মর্যাদা আদায়ে ফেসবুকের সন্মানিত বন্ধুদের উৎসাহিত করা ৷

ফেসবুকের সন্মানিত বন্ধুগন গঠনমুলক আলোচনার মাধ্যমে অধিকার আদায়ে জনমত গঠনে সহায়তা করতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ৷ আমার মেসেজ্ঞারে ও ফোন নাম্বারে আমার লেখালেখির বিষয়ে মতামত জানালে আনন্দিত হব ৷ তবে কেহ নিজের অভাব অভিযোগের কথা বলে লজ্জা দিবেন না ৷ আমার পরিচয় আমি একজন লেখন ৷ তবে আমার পরিবারের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের নিকট আত্মীয় ও নিকট প্রতিবেশীর জন্য ঘর বানিয়ে দেই, সেলাই মেশিন, টিউবওয়েল, বিবাহ শাহিদে সহয়তা, গরীব ছাত্রদের বৃত্তি, মেধাবী ছাত্রদের বৃটেন,আমেরিকা ও কানাডায় পাঠানো সহ আরও অনেক কাজ করে থাকি ৷

আমার পরিবারের তিন ভাই দুই বোনের ভাতিজ-ভাতিজি,ভাগিনা ভাগিনী ২২জন, নাতি-নাতনি ৩০জন পন্তি ১৫ সহ মোট ৯০ জন আমেরিকায় আছেন, মাশা আল্লাহ, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ১২ জন, মেয়ে ডক্টর অব ফার্মাসিষ্ট, এক নাতি আমেরিকান আর্মির মেজর ডাক্তার, আলহামদুলিল্লাহ ৷ আমার সেল নাম্বার 0347-530-2350(টেক্স করতে পারেন) ও মেসেজ্ঞারে পরামর্শ দিতে পারেন ৷ আগামীতে আমি “ওয়াল্ড মুসলিম ডেভোলাপমেন্ট ফোরাম” গঠন করিব, যারা আমার সাথে কাজ করতে আগ্রহী মেসেজ্ঞারে এক কফি ফটো সহ পরিচয় পাঠাতে পারেন ৷ তবে সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করার মত আর্থিক অবস্হা থাকিতে হবে ৷ মহান আল্লা আমাদের সহায় হউন ৷

হাসান আলী,প্রেসিডেন্ট অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান্স৷

Loading