জুমাস ডেস্ক: চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে ফরচুন বরিশাল।
২০১২ সালে প্রথম আসর বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে বরিশাল বার্নার্স। এরপর ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয় বরিশাল বুলস। ২০২২ সালে অষ্টম আসরেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে যায় ফরচুন বরিশাল।
বিপিএল এবারের ১০ম আসরের ফাইনালেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে পেল ফরচুন বরিশাল। আগামী শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায়।
গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া রংপুর রাইডার্সকে গর্ত থেকে টেনে তুলেন শামীম পাটোয়ারি।
শামীম পাটোয়ারী মাত্র ২৪ বলে ৫টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তার কল্যাণেই একশ রানের আগে অলআউটের শঙ্কা পড়ে যাওয়া রংপুর শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে।
ফরচুন বরিশাল ১২০ বলে ১৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরু করে। সাবধানী শুরুর পরও ২২ রানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ফরচুন বরিশাল।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। সৌম্য সরকার ১৮ বল খেলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করে ফেরেন।
মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৫ বলে এক চার আর ৩টি ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন কাইল মায়ার্স।
চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ বলে ৩১ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ৯ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম। দলের জয়ে ৩৮ বলে ৬টি চার আর ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুশফিক। ১৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা অলরাউন্ডার ডেভিড মিলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৭ (রনি ৮, মেহেদী ২, সাকিব ১, নিশাম ২৮, পুরান ৩, নবী ১২, নুরুল ১৪, শামীম ৫৯, আবু হায়দার ১২;
বোলিং: মায়ার্স ৪–০–২২–১, সাইফউদ্দিন ৪–০–২৭–২, ম্যাকয় ৪–০–৫৩–০, ফুলার ৪–০–২৫–৩, মিরাজ ২–০–৯–১, তাইজুল ২–০–৯–০)
ফরচুন বরিশাল: ১৮.৩ ওভারে ১৫২/৪ (মিরাজ ৮, তামিম ১০, সৌম্য ২২, মুশফিক ৪৭, মায়ার্স ২৮, মিলার ২২;
বোলিং: ফারুকী ৪–০–১৬–১, মেহেদী ২–০–২৫–০, আবু হায়দার ৪–০–৩৭–২, নিশাম ১–০–১৬–০, হাসান ৩–০–১৭–০, নবী ৩–০–২০–১, সাকিব ১.৩–০–১৭–০)।
ফল: ফরচুন বরিশাল ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম (ফরচুন বরিশাল)
